কেমিক্যাল স্টোরের কেমিক্যালের শিফট ইনচার্জ নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করবে:
১. স্টোরের পরিবেশ:
- তাপমাত্রা: কেমিক্যাল স্টোরের তাপমাত্রা নির্ধারিত সীমার মধ্যে আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। কেমিক্যালগুলি বিভিন্ন তাপমাত্রায় বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে, সঠিক তাপমাত্রা বজায় না রাখলে তা কেমিক্যালের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- আর্দ্রতা: কেমিক্যাল স্টোরের আর্দ্রতা নির্ধারিত সীমার মধ্যে আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা কেমিক্যালের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে পারে এবং ধাতব কন্টেইনারে মরিচা ধরাতে পারে।
- ভেন্টিলেশন: কেমিক্যাল স্টোরে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। ভাল ভেন্টিলেশন না থাকলে কেমিক্যালের গ্যাস বা বাষ্প জমতে পারে, যা দাহ্য বা বিষাক্ত হতে পারে।
- দৃশ্যমানতা: কেমিক্যাল স্টোরে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত আলো না থাকলে সঠিকভাবে লেবেল পড়া বা জরুরী অবস্থায় সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হতে পারে।
- নিরাপত্তা: কেমিক্যাল স্টোরে সকল নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি includes নির্দিষ্ট প্রতিরোধক ব্যবস্থা, যেমন ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার অ্যালার্ম, এবং ইমার্জেন্সি এক্সিট।
২. কেমিক্যালের সংরক্ষণ:
- সঠিক স্থানে সংরক্ষণ: কেমিক্যালগুলি তাদের ধরণ, বৈশিষ্ট্য এবং বিপদসীমার ভিত্তিতে সঠিক স্থানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এসিড ও বেস আলাদা স্থানে রাখা উচিত, কারণ তাদের মধ্যে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।
- সঠিক পাত্রে সংরক্ষণ: কেমিক্যালগুলি সঠিক এবং নিরাপদ পাত্রে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। কিছু কেমিক্যাল কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করা নিরাপদ নয়, তাদের জন্য বিশেষ ধাতব বা প্লাস্টিক পাত্র ব্যবহার করতে হবে।
- লেবেলিং: সকল কেমিক্যাল পাত্রে স্পষ্ট এবং সঠিক লেবেল লাগানো আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে কেমিক্যালের নাম, উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ এবং নিরাপত্তা সতর্কতা থাকতে হবে।
- মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল: মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যালগুলি সঠিকভাবে অপসারণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। পুরানো কেমিক্যালগুলি রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে।
৩. কেমিক্যালের ব্যবহার:
- সঠিক ব্যবহার: কেমিক্যালগুলি সঠিকভাবে এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশাবলী না মেনে কেমিক্যাল ব্যবহার করলে তা কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বা নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): কেমিক্যাল ব্যবহারের সময় কর্মীরা সঠিক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) ব্যবহার করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। যেমন, গ্লাভস, গগলস, অ্যাপ্রন ইত্যাদি।
- নিরাপদ পরিচালনা: কেমিক্যালগুলি পরিচালনা করার সময় সকল নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। কোন কেমিক্যাল হাতে লাগলে তা সাথে সাথে ধুয়ে ফেলা এবং সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে জানানো উচিত।
৪. দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা:
- দুর্ঘটনার প্রস্তুতি: কেমিক্যাল দুর্ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ উপলব্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি includes স্পিল কিট, ফার্স্ট এইড কিট, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান।
- দুর্ঘটনার প্রতিবেদন: কেমিক্যাল দুর্ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত এবং সঠিকভাবে প্রতিবেদন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ রিপোর্টিং প্রক্রিয়া কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।
- দুর্ঘটনার তদন্ত: কেমিক্যাল দুর্ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার মূল কারণ নির্ণয় এবং ভবিষ্যতে এড়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
৫. কর্মী প্রশিক্ষণ:
- সচেতনতা: স্টোরের সকল কর্মীকে কেমিক্যালের ঝুঁকি এবং সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা থাকলে কর্মীরা আরও সতর্ক হয়ে কাজ করবে।
- প্রশিক্ষণ: সকল কর্মীকে কেমিক্যালের সঠিক ব্যবহার, সংরক্ষণ, এবং জরুরী অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে এবং জরুরী অবস্থায় দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবে।