
বায়োকেমিক্যাল ইটিপিতে পলিমারের ব্যবহার:
বায়োকেমিক্যাল ইটিপিতে পানি পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে পলিমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। পলিমারের দুটি প্রধান ধরণ রয়েছে: ক্যাটায়নিক পলিমার এবং অ্যানায়নিক পলিমার। প্রতিটি পলিমার নির্দিষ্ট প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় এবং এদের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
১. ক্যাটায়নিক পলিমার:
- চার্জ: এই পলিমার ধনাত্মক চার্জযুক্ত, যা জৈবিক পদার্থের সাথে সহজেই লেগে থাকে।
- ব্যবহার: মূলত জৈবিক স্লাজ ডিওয়াটারিং-এ ব্যবহৃত হয়।
- কাজ: জৈবিক স্লাজের ক্ষুদ্র কণাগুলিকে একত্রিত করে বড় ঢেলা তৈরি করে, যা পানি থেকে সহজে আলাদা করা যায়।
২. অ্যানায়নিক পলিমার:
- চার্জ: এই পলিমার ঋণাত্মক চার্জযুক্ত, যা পানির ময়লা কণাগুলিকে আকৃষ্ট করে।
- ব্যবহার: সাধারণত কোঅ্যাগুলেশনের পরে ফ্লক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
- কাজ: পানিতে থাকা ছোট ছোট ময়লা কণাগুলিকে একত্রিত করে বড় ফ্লক তৈরি করে, যা পানি থেকে সহজে সরিয়ে ফেলা যায়।

কোন পলিমার ব্যবহার করবেন?
বায়োকেমিক্যাল ইটিপিতে কোন পলিমার ব্যবহার করবেন, তা নির্ভর করে আপনি কি পরিষ্কার করতে চান তার উপর:
- জৈবিক স্লাজ ডিওয়াটারিং: জৈবিক স্লাজ আলাদা করতে ক্যাটায়নিক পলিমার ব্যবহার করুন।
- পানি পরিষ্কারকরণ: পানির ময়লা কণা আলাদা করতে অ্যানায়নিক পলিমার ব্যবহার করুন।
সঠিক পলিমার নির্বাচন:
সঠিক পলিমার নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভুল পলিমার ব্যবহার করলে পানি পরিষ্কার হতে পারে না। তাই কোন পলিমার ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণের জন্য “জার টেস্ট” (Jar Test) নামক একটি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের পলিমার ব্যবহার করে দেখা হয় কোন পলিমার সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- সঠিক পলিমার নির্বাচন ইটিপির দক্ষতা বাড়ায় এবং খরচ কমায়।
- প্রতিটি ইটিপির নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তাই সবসময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর সাথে পরামর্শ করুন।
আশা করি এখন ব্যাখ্যাটি আপনার জন্য আরও স্পষ্ট এবং সহজবোধ্য হয়েছে!