ইটিপি-তে এসিড ব্যবহারে সাবধানতা | Safety in Handling Acids in ETPs

ইটিপি-তে সালফিউরিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, ফসফোরিক এসিড ব্যবহারের সময় সতর্কতা:


হেলপারদের জন্য:
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE):

  • গ্লাভস: অবশ্যই রাসায়নিক-প্রতিরোধী গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
  • চশমা: রাসায়নিক ছিটা থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য রাসায়নিক-প্রতিরোধী চশমা ব্যবহার করতে হবে।
  • অ্যাপ্রোন: রাসায়নিক ছিটা থেকে পোশাক এবং ত্বককে রক্ষা করার জন্য রাসায়নিক-প্রতিরোধী অ্যাপ্রোন ব্যবহার করতে হবে।
  • মুখোশ: রাসায়নিক বাষ্প শ্বাসে টেনে নেওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য রাসায়নিক-প্রতিরোধী মুখোশ ব্যবহার করতে হবে।

সাধারণ সতর্কতা:

  • এসিডের সাথে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ এড়াতে হবে।
  • এসিড মিশ্রণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  • এসিডের ফোঁটা পড়লে দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • এসিডের সাথে কাজ করার সময় সাবধানে এবং সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।
  • রাসায়নিক দ্রব্যের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা জানা থাকতে হবে।

শিফট ইনচার্জের জন্য:
হেলপারদের তত্ত্বাবধান:

  • শিফট ইনচার্জের দায়িত্ব হবে হেলপারদের সঠিক PPE ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • এসিড ব্যবহারের ক্ষেত্রে হেলপারদের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে কিনা তা তদারকি করতে হবে।
  • হেলপারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কাজের পরিবেশ:

  • এসিড ব্যবহারের স্থানটি সু-বায়ুচলাচলযুক্ত হতে হবে।
  • এসিডের ফোঁটা পড়লে দ্রুত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • এসিডের স্পিলের জন্য জরুরী ব্যবস্থা রাখতে হবে।

নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ:

  • হেলপারদের এসিড ব্যবহারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
  • জরুরী পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সে সম্পর্কে হেলপারদের জানাতে হবে।
  • প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং মহড়ার আয়োজন করতে হবে।

উদাহরণ:
ধরুন, একজন হেলপারকে সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করে একটি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার কাজ দেওয়া হয়েছে। হেলপারকে অবশ্যই রাসায়নিক-প্রতিরোধী গ্লাভস, চশমা, অ্যাপ্রোন এবং মুখোশ পরতে হবে। এসিডের সাথে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ এড়াতে হবে। এসিড মিশ্রণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এসিডের ফোঁটা পড়লে দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শিফট ইনচার্জের দায়িত্ব হবে হেলপারকে সঠিক PPE ব্যবহার নিশ্চিত করা, এসিড ব্যবহারের ক্ষেত্রে হেলপার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করছে কিনা তা তদারকি করা। এছাড়াও, ইনচার্জের দায়িত্ব থাকবে কাজের পরিবেশ সঠিকভাবে বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *